মরভূমির রচনা
ক্লাসে ভূগোল পরীক্ষা চলছে। প্রশ্ন এসেছে- "থর মরুভূমি সম্পর্কে যা জানো লেখো।" একটি ছেলে উত্তর লিখছে- "থর মরুভূমি পৃথিবীর সব থেকে বড় মরুভূমি। পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক জায়গা জুড়ে রয়েছে রাজস্থানের এই মরুভূমি। এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিশাল। শুনেছি এই মরুভূমির বালির ওপর দিয়েই ঘোড়ায় চড়ে রানা প্রতাপ মোঘল সম্রাট আকবরের সাথে যুদ্ধ করতে যেতেন। গোটা মরুভূমিটাই পুরোপুরিভাবে বালিতে ভর্তি। যেদিকেই যাও সেদিকেই শুধু বালি আর বালি। দু পা এগোলেও বালি, দু পা পিছোলেও বালি। চারিদিক শুধু বালি আর বালি। এতই বালি যে এদের সম্বন্ধে কিছু লেখাই যায় না। পূর্বে বালি, পশ্চিমে বালি, উত্তরে বালি, দক্ষিণে বালি। এমনকি ঈশান, অগ্নি, নৈঋত, বায়ু, ঊর্দ্ধ, অধঃ- পৃথিবীর দশদিকেই শুধু বালি আর বালি। বামে বালি, ডাইনে বালি, সম্মুখে বালি, পশ্চাতে বালি। শয়নে, স্বপনে, নিদ্রায়, জাগরণে যেখানেই থাকো সেখানেই শুধু বালি। এই বালি নিযে আর কত লিখবো। পাতার পর পাতা ভরলেও শেষ হবে না। সকালে বালি, দুপুরে বালি, বিকেলে বালি, রাত্তিরে বালি। মুহুর্তে বালি, সেকেন্ডে বালি, মিনিটে বালি, ঘণ্টায় বালি। শুধু বালি আর বালি। যেখানেই হাঁটছি সেখানেই শুধু বালি। এই বালির ওপর দিয়ে বিশাল বিশাল মরুভূমির জাহাজগুলো মানে উটগুলো থপ থপ করে হেঁটে চলেছে। কত মানুষ যে উটে চড়ে বালির ওপর দিয়ে চলে যাচ্ছে সে কি বলবো। সে দৃশ্য না দেখলে বোঝা যায় না। কার ওপর দিযে চলেছি? সেই বালি। অতি দূরে মরীচিকা দেখে আমরা সেই দিকে ছুটে যাচ্ছি এক মুঠো জলের আশায়। ছোটাচ্ছে কে? সেই বালি। রাতে চাঁদের স্নিগ্ধ আলোয় সেই বালি যেন সাদা মুক্তোর মতন ছড়িয়ে পড়েছ। কত যুবক-যুবতী সেই আলোয় বালির ওপর বসে একে অপরের মনের কথা বলছে। মনে হচ্ছে যেন এক রূপকথায় ভরা বালির দেশে আমরা বিচরণ করছি। এত রাশি রাশি মিহি মিহি সেই বালি। ঐতিহাসিক এবং ভৌগোলিক প্রেক্ষাপটে গোটা থর মরুভূমির এক অনবদ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে এই বালি।"
উত্তর পড়ে পরীক্ষক খাতায় একটা বড়সড় শূন্য বসিয়ে বেশ বড় বড় করে লিখে দিলেন- "
.....তো র সে গু ড়ে বা লি....."
Post a Comment
Thanks For Comments